hsc তে a+ পাওয়ার উপায় - এ প্লাস পাওয়ার উপায়
hsc তে a+ পাওয়ার উপায় - এ প্লাস পাওয়ার উপায় |
পরীক্ষার আগে আমরা সবাই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে চিন্তা করি।এটা আসলেই স্বাভাবিক। আমাদের এই চিন্তা পরীক্ষায় ভালো ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে অনেকেই দেখি গুগলে সার্চ করছেন
ssc পরীক্ষায় A+ পাএয়ার উপায়?
hsc তে এ প্লাস পাএয়ার উপায?
পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়?
তো চলুন জেনে নেয়া যাক,
Hsc পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
৮.পড়াগুলোকে নিজের মত করে সাজিয়ে পড়া শুরু করা:
পরীক্ষায় ভালো করতে হলে ইতিবাচক থাকতে হবে।পরীক্ষা ভয় মনে রাখা যাবে না। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী পড়া গুলো সাজাতে হবে।তার পর পড়া শুরু করতে হবে। এতে পড়তে সুবিধা হয়, পড়া মনে থাকেও বেশি।
৭. নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি করা:
পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে গ্রুপ স্টাডি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয় একসাথে গ্রুপ করে পড়লে সেই বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়।এতে পড়া বেশিক্ষণ মনে থাকে আর জটিল বিষয় গুলো আলোচনার মাধ্যমে সহজ করে নেয়া যায়।
৬। ভুল থেকে শেখা:
পড়ার সময় খেয়াল করতে হবে কোথায় ভুল হচ্ছে।কেন ভুল হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করতে হবে। ভুল থেকে শিখলে ওটা বেশি মনে থাকে।
৫। লেখার অভ্যাস করা:
কোনো একটা বিষয় পড়ার পর না দেখে লিখতে গেলে ভুল গুলো ধরা পরে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা। কোন কিছু পড়ার পর তা না দেখে লিখলে ভুল গুলো সহজেই ধরা যায় এবং পরবর্তীতে সেই ভুল হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪। নোট তৈরী করা:
নোট করে পড়া ভাল ফলাফলের গুরুত্ববহ একটি উপায়। ভাল নোট পাঠে মনোযোগ বাড়ায় এবং পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলে। তাছাড়া নোটের মাধ্যমে পরীক্ষার আগে আল্প সময়ে বেশি পড়া রিভিশন দেওয়া যায়।এতে প্রস্তুতি নিতে বেশ সুবিধা হয়।
৩। ক্লাস লেকচার ফলো করা:
ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হয়ে মনোযোগ দিয়ে স্যারের লেকচার শুনতে হবে। কেননা শিক্ষকরা পরীক্ষায় কি আসতে পারে তা নিয়ে ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া জটিল বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে। তাই নিয়মিত শিক্ষকদের ক্লাস লেকচার ফলো করলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সহজ হয়।
২। নিয়মিত নামাজ পড়া:
নিয়মিত নামাজ ও দোয়া জিবনে সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে।
১।খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা:
পরীক্ষার খাতায় সুন্দর হাতের লেখা এবং গোছানো উপস্থাপন শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা অধিক নম্বর পেতে সাহায্য করে।পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক ভালো হবার পরও যদি তা খাতায় ঠিকমত উপস্থাপন করা না হয় তবে সেই পরিক্ষা প্রস্তুতির কোন মূল্য নেই। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করাও এজন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন এবার জেনে নিন
পরীক্ষায় লেখার নিয়ম:
- পরীক্ষার হলে বিসমিল্লাহ্ বলে খাতায় লেখা শুরু করবেন।
- খাতায় খাতায় কালো, নীল এবং পেনসিল ছাড়া সবুজ, বেগুনি, গোলাপি রং ব্যবহার করা ঠিক নয়।
- পরীক্ষার হলে খাতাটি পেয়ে সতর্কতার সাথে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ তথ্যাদি পূরণ করে খাতা মার্জিন করে ফেলবেন।
- পরীক্ষায় লুজ শিট নিলে তার নম্বরটি প্রথমেই মূল খাতার যথাস্থানে সতর্কতার সাথে পূরণ করে নিন।
- পরে মনে থাকতে নাও পারে।
- পরীক্ষার হলে আপনার সর্বোচ্চ গতিতে লিখবেন।খাতায় লেখা যেমনই হোক না কেন শুধু বোঝা গেলেই হবে। পরীক্ষায় দ্রুত লিখলে লেখা খারাপ হবে এটাই স্বাভাবিক। চিন্তার কোনো কারন নেই।
- পরীক্ষার খাতায় কোটেশন, পয়েন্ট ও রেফারেন্স নীল কালি দিয়ে লিখবেন এবং নীল কালি দিয়ে আন্ডারলাইন করে দেবেন। এতে পরীক্ষক সহজে দেখতে পাবেন। তাঁকে দেখানোই আপনার কাজ।
- পরীক্ষার খাতায় সব প্রশ্নের উত্তর করে আসতে চেষ্টা করবেন। সময় না থাকলে কম লিখবেন। না পারলে যা মনে পরে তাই লিখে আসবেন।
- পরীক্ষার খাতায় চেষ্টা করবেন প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে উত্তর দিতে। এতে পরীক্ষকের খাতা দেখা সহজ হয়।এজন্য পরীক্ষক খুশি আর তিনি খুশি হলে নম্বর ভালো আসবে।
- পরীক্ষার খাতায় অসম্পূর্ণ উত্তরের ক্ষেত্রে বাংলা পরিক্ষার সময় অ. পৃ. দ্র. এবং ইংরেজির সময় To be continued লেখা উত্তম।
- পরীক্ষার খাতায় হাবিজাবি লিখে পৃষ্ঠা ভরবেন না।মনে রাখবেন পৃষ্ঠা গুনে নম্বর হয় না। যা চেয়েছে ও যা জানেন, তা সময়ের সঙ্গে মিল রেখে লিখুন।
- পরীক্ষার খাতায় এক কথায় যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা যত সংক্ষেপে লেখা যায়। এখানে প্যাঁচালেই বিপদ।
- পরীক্ষার খাতায় ভুলক্রমে যদি কোনো পৃষ্ঠা রেখে পরবর্তী পৃষ্ঠায় লিখে ফেলেন, চিন্তা করবেন না, তবে ফাঁকা পৃষ্ঠায় একটা দাগ টেনে দেবেন।
- পরীক্ষার হলে সাধারণ গণিতে উত্তর শেষ হলে রিভিশন দেবেন। অনেকেরই প্লাস, মাইনাস বা ছোটখাটো ভুল করার অভ্যাস আছে।
চাইলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।
কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করুন সবার জন্য শুভকামনা। ধন্যবাদ সবাইকে।