মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি : মেডিকেল ছাত্রীর কার্যকরী পরামর্শ



যারা মেডিকেল ভর্তির জন্য আগ্রহী বা এখনি প্রস্তুতি নিচ্ছো তাদের আমার শুভ কামনা।

মেডিকেলে ভর্তির আগেই বলো আর পরেই বলো পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই।তোমাদেরকে পড়তে হবে।হ্যাঁ,পড়াশোনা কমবেশি সবাই করে।কিন্তু তোমাদের টেকনিকালি পড়তে হবে।নিজেকে খুঁজে বের করতে হবে কীভাবে পড়লে তোমার বেশি মনে থাকে।

প্রথমেই বলে রাখি এইচএসসি নিয়ে।এইচএসসির জন্য যে পড়াটা সেটা যদি সুন্দর করে গুছিয়ে নিতে পার তাহলে মেডিকেল এর ৬০% প্রিপারেশান মোটামুটি হয়ে যায়।যদি এখন প্রিপারেশান খারাপ বা আহামরি না থাকে তাহলে হয়তো এ প্লাস পাবে কিন্তু পরে এডমিশন টাইমে কুলিয়ে উঠতে কষ্ট হবে।আগে ভালো পড় নি,অনেক জমে আছে,কোনো ব্যাপার না।এখনই লেগে পড়।

চেষ্টা করলে এখনো তোমরা পারবে।আর এই লকডাউনের সময়টাকে কাজে লাগাও।আমি কখনোই বলব না যে তুমি দিনরাত এক করে পড়।তোমার কতটা পড়লে কাভার হবে তা তোমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না।অন্যের সাথে নিজেকে কখনো তুলনা করতে যাবে না।আর কোনো সিনিয়র বা ব্যাচমেটকে কয় ঘন্টা পড়াশোনা করে এই টাইপ প্রশ্ন করে নিজে ডিপ্রেশনে যাওয়ার কোনো দরকার নাই।


নিজেকে নিজের সাথে তুলনা করো। আগে তুমি কতটুকু ছিলে আর এখন কতটুকু আছ।আর বেশি রাত জেগে পড়াটা আমি সাপোর্ট করি না।একটা সাউন্ড স্লিপ ভালো স্মরণশক্তির জন্য অনেক জরুরী।পড়তে বসে যদি লিখে লিখে পড় তাহলে ভালো মনে থাকবে।সবকিছু লিখার দরকার নেই।মেইন পয়েন্ট বা মেইন ওয়ার্ডটা লিখে পড়বে।আর এইচএসসিতে এ প্লাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কারণ দুইটা বোর্ড পরীক্ষার উপর তোমার ২০০মার্কস নির্ভর করে।

কিন্তু নিতান্তই না পেলেও ভয় পাবে না।চেষ্টা চালিয়ে যাবে।বাকিটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা।বই পড়ার ক্ষেত্রে আমি বলব সব সাবজেক্ট এর ক্ষেত্রেই একটা বইকে মেইন বই ধরে পড়বে(জেনারেলি এগুলো কোচিং থেকে বলে দেয়)।ওই বইটাতেই ফাঁকা জায়গায় অন্যান্য বইয়ের যত এক্সট্রা বা নতুন ইনফরমেশন আছে সব লিখে ফেলবে।তাহলে পড়তে সুবিধা হবে।আর অবশ্যই নতুন এডিশন ফলো করবে(এইচএসসির জন্য না,কেবল এডমিশন টাইমে)।চাপ নেওয়া যাবে না।

আরো পড়ুন: মেডিকেল অ্যাডমিশন টেস্ট : মেধাবীদের পরামর্শ

যথাসম্ভব রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবে।সবচেয়ে বড় কথা পড়া জমাবে না।যখন তোমার মনে হবে তুমি পড়া অনেকটা গুছিয়ে এনেছো তখন নিজে নিজেই পরীক্ষা দেবে।এমনিতে তো কোচিং এ পরীক্ষা হবেই।

কিন্তু নিজেকে যাচাই করার প্রয়োজন আছে।সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখবে।নিয়মিত প্রার্থনা করবে।চেষ্টা করে যাও।সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।


সায়মা জোহরা ঐশী(হৃদি)

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ(১ম বর্ষ)

এক্স-হলিক্রস কলেজ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

 যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবেই তুমি পরীক্ষা দিতে পারবে বি ইউনিটে।