সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমানোর কার্যকরী উপায়


সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি বর্তমানে বড় সমস্যা গুলোর একটি। দিন দিন আমরা নিজেরা বা নিজের ছেলে মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পরছে। লেখাপড়া বা কাজে মন দিচ্ছে না। আমার পরিচিত অনেক ছেলে মেয়েদের দেখেছি তারা সারারাত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে সকালে ঘুমিয়ে বেলা ১২-১:০০ টায় ঘুম থেকে উঠে। বিষয়টা ভাবুনতো একবার।তারা কি জানে না মহান আল্লাহু তায়ালা রাতকে বানিয়ে ঘুমানোর জন্য আর দিনকে বানিয়েছে আল্লাহর ইবাদত ও কাজের জন্য।যাই হক চলুন যেনে নেওয়া যাক,

সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমানোর উপায়:

আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমাতে নিজেকে নিজের কথাগুলো শুনাতে হবে এবং সাথে সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলবো বলে  সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেন, এভাবে সম্ভব না।


ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করতে হবে,

আপনার যদি মন থেকে ইচ্ছে হয় যে কোনো খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে চান তখন ওই ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দিতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে।অনেক মানুষ প্রতিদিন ভাবে যে সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমাবো, কিন্তু এটা আসক্তি কমাতে কোনো কাজ করা হচ্ছে না, এভাবে আসক্তি কমবে না। 

নিজেকে ব্যাস্ত রাখুন ভালো কাজে,

সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমাতে অবসর সময়ে নিজে স্মার্ট ফোন থেকে দূরে রেখে নিজেকে ভালো কাজে ব্যাস্ত রাখতে হবে। যেমন কোরআন পডে, ইসলামিক বই পডে, বাগান করে, পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করে, দরিদ্র ছাত্রদের পড়িয়ে, পরিবারে সদস্যদের সময় দিয়ে ইত্যাদি।

পাশা পাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে আবসর সময় কাটাতে পারেন। যেমন Spoken English কোর্সটি করে নিতে পারেন।

ত্যাগ করতে হবে,

সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি আপনি কমাতে চাইলেও আপনার বন্ধুরা আপনাকে কিন্তু সহজে নাও ছাড়তে পারে। যেমন বার বার ম্যাসেজ করবে আর আপনি একটা ম্যাসেজ এর রিপ্লে দিতে গিয়ে ২ ঘন্টা কাটিয়ে দিলেন। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক।

তাই সোশ্যাল বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে হবে। সোশ্যাল এপ এর নোটিফিকেশন অফ করে রাখবেন। বিছানায় সুন্দর করে বসবেন। সুয়ে পড়বেন না।


স্পেশাল টিপস:

৫ ওয়াক্ত নামাজ সময়মত পড়বেন। অবসর সময় ইসলামিক বই পড়বেন। কোরআন পড়বেন আর কোরআন পড়তে না জানলে শিখে নিবেন ওই সময়ে। বেশী বেশী আল্লাহ যিকির করবেন। আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপনাকে সাহায্য করবেন সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমাতে ইনশাল্লাহ। 


লেখক ঃ

আল-আমীন মিয়া

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

 যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবেই তুমি পরীক্ষা দিতে পারবে বি ইউনিটে।